যুক্তরাজ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা পদে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাহী পদে তারা এখনো পিছিয়ে আছেন।
নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ ৩৫০ বা এফটিএসই ৩৫০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলো চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সভাকক্ষের কর্মকর্তাদের অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সর্বোচ্চ পদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব এখনো অনেক কম।
শীর্ষ পদে নারীদের রাখার এ লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছিল হ্যাম্পটন-আলেকজান্ডার রিভিউ নামের একটি পর্যালোচনা সংস্থা। এটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো নিয়ে কাজ করছে।
'ফিমেল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্ড রিপোর্ট' নামের বার্ষিক প্রতিবেদনটি তৈরি করে যুক্তরাজ্যের ক্রেনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং (ইওয়াই)।
এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ ৩৫০ (এফটিএসই ৩৫০) কোম্পানিগুলোর মধ্যে নির্বাহী পরিচালক পদের বাইরে অন্য পদগুলোতে নারীদের ব্যাপক উন্নতি দেখা গেছে। এসব পদের ৪০.৮ শতাংশ নারী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাহী পরিচালকের বাইরের পদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব এ বছর সর্বকালের সবচেয়ে বেশি। গত বছর এ হার ছিল ৩৮.৯ শতাংশ। তবে নির্বাহী পদে নারীদের প্রতিনিধিত্বের হার মাত্র ১৩.২ শতাংশ।
এফটিএসই ১০০ অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোতে প্রধান পদে নারীদের সংখ্যা গত বছর ছিল পাঁচ জন। এক বছরে এ সংখ্যা তিনটি বেড়ে আট হয়েছে।
ফিমেল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্ড রিপোর্টের সময়সীমা কোনো বছরের জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত। এ বছরের জুন পর্যন্ত এফটিএসই ১০০ কোম্পানিগুলোতে ৫ নারী প্রধান নির্বাহীর মধ্যে ছিলেন ন্যাটওয়েস্ট গ্রুপের অ্যালিসন রোজ, সেভার্ন ট্রেন্টের লিভ গারফিল্ড ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লিনের (জিএসকে) এমা ওয়ামজলি।
বাকি দুজনের একজন হলেন লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল গ্রুপের মিশেল সিলভিয়া, যিনি গ্রুপটির বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান। অন্যজন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আইটিভির ক্যারোলিন ম্যাককল।