কেনিয়ার পুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি ডেভিড মারাগা ।
স্থানীয় সময় সোমবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তাকে এ পরামর্শ দেন তিনি।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনিয়ার আইনপ্রণেতারা সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মারাগা ওই পরামর্শ দেন।
২০১০ সালে সংশোধিত কেনিয়ার সংবিধানে বলা হয়, পার্লামেন্টে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি একই জেন্ডারের হবে না।
দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩৪৯ আসনের ২২ শতাংশ নারী। অন্যদিকে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৬৭ আসনের ৩১ শতাংশে প্রতিনিধিত্ব করছেন নারীরা।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে দুই কক্ষেই পুরুষ সংসদ সদস্য দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি।
মারাগা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর সময় সংসদ ভেঙে দিলে দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক চাপ পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জনগণ সংবিধানে উল্লেখিত ওই বিধানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তাদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মানতে বাধ্য নন। তবে দীর্ঘদিন ধরে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো মারাগার পরামর্শকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তাদের মতে, এ উদ্যোগ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নারী অধিকারকর্মী মেরিলিন কামারু এক টুইটবার্তায় বলেন,‘তিন বছর আগে সংসদ ভেঙে দিতে আদালতে পিটিশন করা হয়। আজকের এই পদক্ষেপের পেছনে অসংখ্য নারী অ্যাক্টিভিস্ট ও নারীবাদীদের ভূমিকা আছে।’
ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ায় আনুষ্ঠানিক খাতগুলোতে ২৫ লাখ জনবলের এক-তৃতীয়াংশই নারী। অন্যদিকে দেশটির ক্ষেত-খামার শ্রমিকদের ৮০ শতাংশই নারী। কিন্তু নারীরা কৃষি জমির মাত্র এক শতাংশের মালিক।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডার সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ কেনিয়ার চেয়ে বেশি।