ট্রাস্ট ব্যাংকে ঢুকে বোমা ফাটানোর হুমকিদাতা যুবক তরিকুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, তারিকুলের বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টির অপরাধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চায়। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
বুধবার বিকালে তারিকুলের কাছে বোমা থাকার আতঙ্কে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সন্ধ্যায় কৌশলে তাকে আটক করে পুলিশ।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘বিকেলে ব্যাংকে গিয়ে ওই যুবক হাতব্যাগে বোমা আছে বলে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেন। বোমার ফাটানোর হুমকির কথা শুনে ব্যাংকের ভেতর আতঙ্কে ছড়ায়।
‘সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই যুবক বুধবার দুপুর তিনটার দিকে ট্রাস্ট ব্যাংকে ঢোকে। এর পর তিনি ব্যাংকের ভেতর অবস্থান করতে থাকে। একটি চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে।
‘টাকা না দিলে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বোমার ভয় দেখায়। পকেটে রাখা বোমা ফাটিয়ে ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।’
এই সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে থানার খবর দেয়। এরপর র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাকে আটক করে।
ওসি বলেন, আটক যুবক তারিকুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এক বছর আগে কুয়েত থেকে দেশে আসেন। এখন তিনি বেকার।
তরিকুল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল নিউজবাংলাকে বলেন, আটকের পর ওই যুবককে তল্লাশি করা হয়। তার প্যান্টের পকেটে একটি পারফিউমের কৌটা পাওয়া গেছে। তার কাছে কোনো বোমা মেলেনি।
ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, আটক যুবককে থানায় আনা হয়েছে। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে।