বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিরাই আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষে নিহতের খবর সত্য নয়

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫৯

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. মনি রাণী বলেন, ‘ওনাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে আসেন। তার বুকে ব্যথা ছিল। হার্ট অ্যাটাক করেছেন সন্দেহে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করি। পরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার পরিবারের লোকজনও কোনো অভিযোগ করেনি।’

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী নিহতের খবরটি সত্য নয় বলে জানা গেছে।

সোমবারের ওই সংঘর্ষে ঢিলের আঘাতে ৩৫ বছরের আজমল নিহত হন বলে খবর প্রকাশিত হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে। তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, আজমল আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে নিহত হননি।

আজমলের পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি মিথ্যা বলে নিশ্চিত হয়েছে নিউজবাংলা।

আজমল হোসেনের ভগ্নিপতি দুলাল চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আজমল কল দিয়ে জানান তার বুকে ব্যথা করছে। শরীর খারাপ লাগছে। আমি হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে বাসায় নিয়ে আসি। তার অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং সেখানেই তিনি মারা যান।’

ঢিলের আঘাতে নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার শরীরে আমরা কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। এছাড়া লাশ বাসায় আনার পর গোসল করানোর সময় নিজে দেখেছি। কোনো চিহ্ন পাইনি।’

আজমল চৌধুরীর ভাগ্নে রুম্মান সরদার বলেন, ‘ওনি দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সকালে ভালই ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ ওনার বুকে ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মামা মারা যান।’

দিরাই থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল। আর ওনার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।’

এছাড়া আজমল হোসেনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. মনি রাণী বলেন, ‘ওনাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে আসেন। তার বুকে ব্যথা ছিল। হার্ট অ্যাটাক করেছেন সন্দেহে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করি। পরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার পরিবারের লোকজনও কোনো অভিযোগ করেনি।’

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিরাইয়ে যে ঘটনা হয়েছে ও আজমল চৌধুরীর মৃত্যু দুটোই ভিন্ন ঘটনা, ওনার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর