আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল রোববার তালেবান ঘিরে ফেলার একপর্যায়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সঙ্গী ছিলেন সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তাও।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘানি প্রথমে প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে যান। পরে সেখান থেকে ওমানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
রক্তপাত এড়াতেই দেশ ছাড়েন বলে পরে ফেসবুক পোস্টে জানান আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি।
দেশবাসীকে চরম সংকটের মধ্যে ফেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘানির পলায়নে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশি-বিদেশি মহলে।
এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘানির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বিমানে উঠতে যাওয়া ঘানির ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ঘানি।
টুইটার ব্যবহারকারী একজন ওই ভিডিও শেয়ার করে শিরোনামে লিখেছেন, ‘তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
‘দেশ ও দেশের মানুষকে ঘানি কত ভালোবাসেন, তা তিনি প্রমাণ করেছেন।’
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেইক নিউজ ওয়ার রুমের (এএফডব্লিউএ) অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির দাবি সত্য নয়।
গত মাসে দুই দিনের সফরে উজবেকিস্তান গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ঘানি। এটি তারই ভিডিও।
১৫ জুলাই আফগানিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ একই ভিডিও টুইট করে।
এর শিরোনামে লেখা, ‘উজবেকিস্তানে দুই দিনের সফরে আজ সকালে কাবুল ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। প্রেসিডেন্ট প্যালেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।’
টোলো নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: আঞ্চলিক সংযোগ, চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থাৎ এক মাসের পুরোনো এক ভিডিও ঘানির দেশত্যাগের নামে ভুলভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
১৫ আগস্ট চারটি গাড়ি ও হেলিকপ্টারে নগদ অর্থ ভরে ঘানি আফগানিস্তান ছাড়েন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
তাজিকিস্তান বা ওমান নয়, ঘানি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন বলেও কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।