সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে দাবি করা হয়, ইন্দোনেশিয়ার নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী বাদুদের কখনোই টিকা দেয়া হয়নি।
১ আগস্ট টুইটারে প্রথম এই সংক্রান্ত পোস্ট দেয়া হয়। ৭০০ বারের বেশি এটি রিটুইট হয়।
টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘টিকাকে সর্বরোগের মহৌষধ বলা হয়। তাহলে বাদু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কী বলা হবে?
‘এই জনগোষ্ঠী শত শত বছর ধরে কোনো টিকা নেয়নি। তারা কি রোগে ভুগে নির্মূল হয়ে গেছে? পোলিওর কারণে তারা শারীরিক অক্ষমতায় ভুগছে?’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদু জনগোষ্ঠীর টিকা না নেয়ার তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। তারা পোলিও, ডিপথেরিয়া সব টিকাই পায়।
এমনকি সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আঘাত হানা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাও তাদের দেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার বানতেন প্রদেশে বাদু সম্প্রদায়ের বাস।
দেশটিতে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিলেও ওই সম্প্রদায় এখনও ভাইরাসটির ভয়াবহতা দেখেনি।
চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৩৭ লাখের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।
২০১০ সালের মার্চে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অন্তরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাঁচ বছরের নিচে থাকা বাদু শিশুদের পোলিও, টিবিসি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হামসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের টিকা দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের অক্টোবরেও একই ধরনের টিকাদান কার্যক্রমের প্রতিবেদন করে ইন্দোনেশিয়ার নিউজ পোর্টাল বেরিতাসাতু।
চলতি বছরের ১০ আগস্ট বাদু নেতা জারো সাইজা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনিসহ আরও অনেকে করোনা টিকা পেয়েছেন।