র্যাপিড কিট দিয়ে দেশব্যাপী করোনা পরীক্ষার জন্য টিকেএস হেলথকেয়ার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে- এমন একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এই পোস্টে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একটি পরিপত্রের ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।
তবে এই পরিপত্রটি ভুয়া ও একটি গুজব বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৯ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ সচিব জাকিয়া পারভীনের স্বাক্ষর কপি পেস্ট করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, যা সর্বাংশে মিথ্যা তথ্য সংবলিত। এমন কোনো পরিপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জারি করেনি।
ফেসবুকে ছড়ানো কথিত সেই পরিপত্রে বলা হয়, “আগামী ১১/০৭/২০২১ ইং তারিখের আবেদন সাপেক্ষ্যে সারাদেশ ব্যাপি কোভিড-১৯ র্যাপিড টেস্ট সকল সরামঞ্জাম এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রাথমিক ভাবে র্যাপিড কিট ডিভাইজ আসার পর ‘টিকেএস হেলথকেয়ার লিমিটেড’ কে প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদে কাজ শুরু করা অনুমোদন প্রদান করা হল। ”
তবে এটি মিথ্যা ও একটি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘কোভিড ১৯ এর অতিমারিকালে জাতি যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলস লড়াই করে যাচ্ছে সে সময় এক শ্রেণির অসাদু লোকজন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ফায়দা লুটে নেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার কথাও জানান সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।