মালয়েশিয়ার একটি দৈনিকে প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনের ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে।
মালয়েশিয়ার এক মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, দেশটিতে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আলাদা টিকা দেয়া হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এটি।
ফ্যাক্ট চেকে দেখা গেছে, ফেসবুকে স্ক্রিনশটটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছে গত ২৫ জুন। ১০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে পোস্টটি।
এতে দেখানো প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ার করোনা প্রতিরোধী টিকা সমন্বয়কারী মন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিনের উদ্ধৃতি টানা হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী।
স্ক্রিনশটের ছবিতে প্রতিবেদনের একটি অংশ হলুদ রঙে চিহ্নিত। সেখানে লেখা, ‘মুসলিমদের ফাইজার-বায়োএনটেক আর অমুসলিমদের সিনোভ্যাকের করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।’
মাক্কাল কুরাল দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ। ছবি: এএফপি
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘মাত্রই মাক্কাল কুরালের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ তথ্য পেলাম।
‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন, মুসলিম আর অমুসলিমদের জন্য আলাদা টিকা কেন? আমি আশা করছি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বৈষম্যমূলক মন্তব্যের একটি ভালো ব্যাখ্যা আমরা পাব।’
মাক্কাল কুরাল হলো ভারত থেকে প্রকাশিত তামিল ভাষার একটি দৈনিক।
ফেসবুক ও টুইটারে স্ক্রিনশটটি নিয়ে একাধিক পোস্ট হয়েছে। কিন্তু এতে দেয়া তথ্য ভুল।
এএফপি জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৮ মে মালয়েশিয়ান দৈনিক দ্য স্টারও এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেদিনই আবার সংশোধিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
দ্য স্টারে প্রকাশিত ভুল প্রতিবেদন (বাঁয়ে, হলুদ চিহ্নিত) ও পরে প্রকাশিত সংশোধনী (ডানে)। ছবি: এএফপি
সংশোধনীতে ভুল স্বীকার করে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “মন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন মুসলিমদের ফাইজার-বায়োএনটেক ও অমুসলিমদের সিনোভ্যাকের টিকা দেয়ার দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু আমাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান’ শব্দ দুটি বাদ পড়ে গিয়েছিল বলে এর ভিন্ন অর্থ দাঁড়িয়েছিল।”
সংশোধনী প্রকাশের পর পুরোনো ভুল প্রতিবেদনটি প্রচার করা থেকে জনগণকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান স্টার মিডিয়া গ্রুপের মুখপাত্র ইস্থার সেক ই।
বুধবার পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনা প্রতিরোধে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণালব্ধ টিকা পেয়েছেন জনগণ।