বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্যারাসিটামল মিলছে না যশোর শহরে?

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ২১:৩০

আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, বাসার সবার জ্বর-সর্দি লেগেছে। এজন্য তিনি নাপা কিনতে এসেছেন। তবে কয়েকটি দোকানে গিয়েও নাপা পাননি।

যশোর শহরের ফার্মেসিতে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি নিরাময়কারী ওষুধ প্যারাসিটামল নেই বলে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে সীমান্তবর্তী এ জেলায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের প্রচুর চাহিদা তৈরি হওয়ায় এ ধরনের ‘গুজব’ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

তারা জানিয়েছেন, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের মধ্যে শুধু নাপার সংকট রয়েছে। তবে অন্য কোম্পানির এ জাতীয় ওষুধে কোনো সংকট নেই।

সোমবার যশোর জেনারেল হাসপাতাল মোড়, মাইকপট্টি, রেলরোড, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানের ফার্মেসি দোকানে গিয়ে জানা যায়, যশোরে করোনা শনাক্তের হার কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় এবং লকডাউনের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো জ্বর-সর্দি ও কাশির ওষুধ কিনে মজুদ করছেন সাধারণ মানুষ।

দুপুর ১২টায় ওষুধের পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র শহরের বঙ্গবাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই ওষুধ কেনার জন্যে ভিড় করছে মানুষ।

আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, বাসার সবার জ্বর-সর্দি লেগেছে। এজন্য তিনি নাপা কিনতে এসেছেন। তবে কয়েকটি দোকানে গিয়েও নাপা পাননি।

নাপার এত চাহিদা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে করোনার জরুরি ওষুধের মধ্যে নাপার নাম দেখছি। এ কারণে নাপা কিনতে আইছি।’

বঙ্গবাজারের চাকলাদার ফার্মেসি, মায়া, আইডিয়া, ঔষধ বিতান, বিসমিল্লাহ, মাইকপট্টির জামান ও অর্ণব ফার্মেসিতে গেলে বিক্রেতারা জানান, কোম্পানি সাপ্লাই না দেয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের দোকানে নাপা নেই।

তবে অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দোকানে যথেষ্ট মজুদ রয়েছে বলে জানান তারা।

জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘নাপা ও এন্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধ জিম্যাক্সের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’

করোনার মধ্যে সবাই নিজের মতো ওষুধ কিনছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সেবন করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নাপার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর বিক্রয় প্রতিনিধি প্রণয় দাস বলেন, ‘শুধু যশোরে নয়, গত ১০ দিন ধরে দেশের সব জেলায় নাপার সরবরাহ কম রয়েছে। কোম্পানির কাছে নাপার কাঁচামালের সরবরাহ কম থাকার কারণে ও ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এমন সঙ্কট দেখা দিয়েছে।’যশোর জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আব্দুস শহীদ চাকলাদার পান্নু বলেন, ‘করোনার প্রকোপে উপসর্গ নিরাময়কারী ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। তবে নাপা বাদে অন্যান্য কোম্পানির প্যারাসিটামলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। যশোরে প্যারাসিটামল পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ সম্পূর্ণ গুজব।’

যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক মনিকা মোহন্ত বলেন, ‘সাধারণ জ্বর, মাথা-ব্যথার ক্ষেত্রে নাপা একমাত্র ওষুধ না। বাজারে অন্য কোম্পানিরও ভালো মেডিসিন আছে। এইচ, এইচ প্লাস, রেনোভা, এক্সপা এসব ওষুধেরও যথেষ্ট কার্যকারিতা আছে। একমাত্র নাপার কার্যকারিতা বেশি এটি ঠিক নয়।

এ বিভাগের আরো খবর