বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামাসের ‘মানবঢাল’ হিসেবে শিশুদের ব্যবহারের ভিডিওটি ভুয়া

  •    
  • ৩০ মে, ২০২১ ১৫:৫২

কমপক্ষে সাত বছর আগে থেকে অনলাইনে রয়েছে ভিডিওটি। ২০১৪ সালে যে সময়ে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়, তখনকার ভিডিও ছিল এটি। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে স্লোগান দিতে শোনা যায়।

ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাস শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে দাবি করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ও উইবোতে।

গত ১৯ মে শেয়ার করা ভিডিওটি দেখেছে ৬৫ হাজার মানুষ। অথচ এতে যে দাবি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের কোনো চরিত্র বা ‘মানবঢালের’ উপস্থিতি ভিডিওতে নেই।

ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এই বলে যে, চলতি মাসে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার প্রমাণ এটি।

এএফপির ফ্যাক্ট চেক বলছে, এ দাবি মিথ্যা।

কমপক্ষে সাত বছর আগে থেকে অনলাইনে রয়েছে ভিডিওটি। ২০১৪ সালে, অর্থাৎ যে সময়ে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়, তখনকার ভিডিও ছিল এটি।

ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে স্লোগান দিতে শোনা যায়। সেখান থেকেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির উৎস সিরিয়া।

টুইটারে মান্দারিন ভাষায় লেখা ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘এই শিশুরা এক হামাস নেতাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে এবং ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।’

ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আরবি ভাষায় চিৎকাররত এক ব্যক্তিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকজন শিশু। আর একই সময়ে সেখানে আরেক ব্যক্তি অস্ত্র প্রস্তুত করছে।

গত ১০ মে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ১১ দিন ধরে চলা ওই সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৬৫ শিশুসহ ২৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির। গৃহহীন হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার মধ্যেই অনলাইনে নতুন করে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। দাবি করা হয়, ওই সহিংসতারও অংশ চিত্রায়িত হয়েছে ভিডিওতে।

গুগলে একটি নির্দিষ্ট শব্দ লিখে সার্চ করে দেখা গেছে, একই ভিডিও ইউটিউবে শেয়ার হয়েছে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি।

ইউটিউবে ২০১৪ সালে প্রকাশিত ভিডিও থেকে নেয়া ছবি

ওই ভিডিওর ২২ সেকেন্ড থেকে কেটে নেয়া অংশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের দৃশ্য বলে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

ইউটিউব ভিডিওটির শিরোনামে লেখা, ‘**অবশ্যই দেখুন** সিরিয়ার শিশুরা একসঙ্গে মর্টার ছুড়ছে!’

ক্যাপশনে লেখা, ‘সিরীয় বিমান বাহিনীর গুচ্ছবোমা হামলার পর আসাদকে এভাবেই জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিশুরা।’

ইউটিউব ভিডিওটির বাম দিকে আরবি ভাষার লোগোতে লেখা ‘জয়েশ আল মুজাহিদিন’। এটি সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে তৎপর একটি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের লোগো।

আসল ভিডিওটি শুরু হয় মানুষের ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে; শোনা যায় বোমা বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ।

শিশুদের সঙ্গে থাকা লোকটিকে বলতে শোনা যায়, ‘সিরীয় জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া প্রত্যেককে বলছি…আল্লাহকে ধন্যবাদ যে এই শিশুরা মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসারী। নতুন এ প্রজন্মই আমাদের বিজয়ের পথ দেখাবে এবং বাশার আল-আসাদকে হারিয়ে দেবে।’

ঠিক কোথায়, কবে বা কোন জায়গায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত হতে পারেনি এএফপি।

এ বিভাগের আরো খবর