বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছবিটি ইসরায়েলি সেনার নয়, চিলির পুলিশ কর্মকর্তার

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ১৪:১৩

ভাইরাল হওয়া ছবির ওপর লেখা, ‘ফিলিস্তিনি এক শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনা। বিশ্ব শিশুটির জন্য কিছুই করছে না। ফিলিস্তিনে জায়নবাদী রাষ্ট্রের নৃশংসতা পুরো বিশ্ব না দেখা পর্যন্ত ছবিটি শেয়ার করুন।’

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের চলমান উত্তেজনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি সম্প্রতি বেশ ভাইরাল হয়েছে।

ছবিতে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিনি এক শিশুর ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে রয়েছে ইসরায়েলি এক সেনা।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি ২০১৬ সালের। চিলির ভালপারাইজো শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তা এক শিশুর ঘাড়ে হাঁটু চেপে বসেছিলেন। সে সময়ই ছবিটি তোলা হয়।

এর আগে গত বছরের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর ওই একই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। ছবিটি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের নয়।

পাকিস্তানের বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজের (পিএমএল-এন) সদস্য রানা মাশুদ আহমাদ খান ১৫ মে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।

ছবির শিরোনামে উর্দু ভাষায় লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও শান্তির পক্ষে বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এখন জরুরি। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ সব দেশ একত্রিত হয়ে এ জুলুম বন্ধ করতে হবে।’

ছবির ওপর লেখা, ‘ফিলিস্তিনি এক শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনা। বিশ্ব শিশুটির জন্য কিছুই করছে না। ফিলিস্তিনে জায়নবাদী রাষ্ট্রের নৃশংসতা পুরো বিশ্ব না দেখা পর্যন্ত ছবিটি শেয়ার করুন।’

১০ মে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস ও গাজার সশস্ত্র অন্য গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষ চলে ১১ দিন। গত বৃহস্পতিবার মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয় শুক্রবার থেকে।

টানা ১১ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয় ৬৫ শিশুসহ ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।

অন্যদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেটে নিহত হয় দুই শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি।

চিলির রেডিও স্টেশন রেডিও এডিএনে ২০১৬ সালের ১ অক্টোবরের এক নিবন্ধে ছবিটি পায় এএফপির অনুসন্ধানী দল।

নিবন্ধে দাবি করা হয়, ভালপারাইজো শহরে গ্রাফিতি আঁকায় এক শিশুকে ধরে তার ঘাড়ে পুলিশের চেপে বসার ছবিটি আলোকচিত্র নিয়ে কাজ করা এক সংগঠনের।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাতের ব্যাজের সঙ্গে চিলির জাতীয় পুলিশ বাহিনীর লোগোর মিল রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর