ভারতের উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সবশেষ ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আগামী বুধবারের দিকে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। লঘুচাপটি সাইক্লোনে পরিণত হলে এর নাম কী হবে, তা নিয়ে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকেই সম্ভাব্য সাইক্লোনটিকে বলছেন ‘যশ’। তবে প্রকৃতপক্ষে সাইক্লোনটির নাম ‘ইয়াস’।
কীভাবে সাইক্লোনের নামকরণ
সাইক্লোনের নামকরণে ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) একটি তালিকা রয়েছে। এতে চক্রাকারে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর দেয়া নাম অনুযায়ী নামকরণ হয় সাইক্লোনের।
এই তালিকা অনুযায়ী আসন্ন সাইক্লোন ইয়াসের নাম দিয়েছে ওমান। শব্দটির অর্থ ‘বিশেষ সুগন্ধি গাছ’। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে ইয়াসের উচ্চারণও দেয়া রয়েছে।
ডব্লিউএমও তালিকায় ইয়াসের পরে এই অঞ্চলে যে সাইক্লোনটি আসবে, তার নাম দিয়েছে পাকিস্তান। সেই সাইক্লোনের নাম হবে ‘গুলাব’।
ডব্লিউএমওর ৪৫তম বার্ষিক সভা হয় ২০১৮ সালে। ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত সেই সভায় নির্ধারিত হয় দীর্ঘ মেয়াদে যেসব সাইক্লোন আসবে সেগুলোর নাম।
উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ১৬৯টি সাইক্লোনের নাম এরই মধ্যে নির্ধারিত হয়ে আছে। এই অঞ্চলের ১৩টি দেশের ১৩টি করে দেয়া নামের ভিত্তিতে ১৩টি চক্রে আছে মোট ১৬৯টি ঝড়।
প্রতিটি চক্রের শুরু বাংলাদেশের দেয়া নামের ঝড়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশের দেয়া নামগুলোর মধ্যে রয়েছে নিসর্গ, বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, বর্ষণ, রজনী, নিশীথ, ঊর্মি, মেঘলা, সমীরণ, প্রতিকূল, সরোবর, মহানিশা।
কেন দেয়া হয় সাইক্লোনের নাম?
ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইট অনুযায়ী সাইক্লোনের নামকরণ করা হয় পাঁচটি কারণে:
১. প্রতিটি সাইক্লোনকে আলাদা করে চেনার জন্য
২. এর গতিবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে
৩. একই অঞ্চলে একই সময়ে একাধিক সাইক্লোনের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দূর করতে
৪. দ্রুত বহুজনের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে
৫. সহজে উপকূলীয় সাইক্লোনগুলোকে মনে রাখতে