করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় প্রায় প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড করছে ভারত। হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা। হাসপাতালে ওষুধ, অক্সিজেন ও শয্যার তীব্র সংকট।
এমন বাস্তবতায় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। এতে দাবি করা হয়, গ্রামবাসীর আক্রমণের শিকার করোনা পরীক্ষা করতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এএফপির ফ্যাক্টচেক ওই দাবি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে। এতে দেখা যায়, ভিডিওটির দাবি পুরোপুরি ভুল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পূর্বাঞ্চলে এক বন্দির মৃত্যুর পর পুলিশভ্যানে হামলা চালিয়েছিল একদল গ্রামবাসী। ওই ঘটনার ভিডিও ৩০ এপ্রিল ফেসবুকে শেয়ার করা হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর শিরোনামে লেখা, “গ্রামবাসীর প্রতি ভারত সরকার: ‘আপনাদের কোভিড-পিসিআর পরীক্ষার সময়...’ সরকারের প্রতি ভারতের গ্রামবাসী।”
ভিডিওতে দেখা যায়, একদল মানুষ লাঠি হাতে একটি গাড়ির ওপর হামলে পড়েছে।
ফেসবুকের পাশাপাশি ভিডিওটি একই দাবি নিয়ে টুইটার, ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার হয়।
জানুয়ারিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভদরক জেলার হাতুরাই গ্রামে এক বন্দির মৃত্যুর পর স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের বিরোধ বাঁধে।
ওড়িশা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বুধবার এক তরুণের কথিত আত্মহত্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভদরক জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি এক মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ওই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তরুণটিকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।’
ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্টকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিডিওটি ওড়িশার ভদরক জেলা থেকে ধারণ করা হয়। জানুয়ারি মাসে তাহিদি থানার অধীনে ওই ঘটনা ঘটে। কয়েকজন ব্যক্তি স্থানীয় পুলিশের ওপর ওই সময় হামলা চালিয়েছিল।’
ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সময় ধারণ করা হয় বলেও আরেক জায়গায় দাবি করা হয়।
ভারতের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট বুম লাইভ ওই দাবিকে ভুল বলে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।