বেলজিয়ামের এক রাজনীতিক করোনাভাইরাসের টিকা সত্যিসত্যি নিচ্ছেন না, ভান করছেন এমন এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। ইউটিউব, টুইটার ও ফেসবুকে ভিডিওটি হাজার হাজার শেয়ার হয়।
সোমবার ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করা হয়। এর শিরোনাম চীনা ভাষায় লেখা। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘টিকা নিয়ে জনমনে ভীতি দূর করতে করোনার টিকা নেয়ার প্রথম সারিতে রয়েছেন বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু ভিডিওটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। সিরিঞ্জে সুচ কোথায়?’
ওই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে কাজ করে এএফপির ফ্যাক্টচেক।
আট সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে দেখা যায়, বেলজিয়ামের রাজনীতিক বার্ট সোমারস করোনার টিকা নিচ্ছেন। অবশ্য কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায়, সিরিঞ্জের ঢাকনা বন্ধ।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ১১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিও প্রচার করে বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম ভিআরটি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সঙ্গে ওই ভিডিওর মিল রয়েছে।
ভিআরটির ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলজিয়ামে করোনার টিকার ট্রায়াল চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ প্রশাসন মন্ত্রী বার্ট সোমারসের তত্ত্বাবধানে বিলজেন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ৫০ জনের মতো মানুষ আজ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এটি মূলত ড্রাই রান বা পরীক্ষামূলক টিকাদান।’
সোমারস ৪ ফেব্রুয়ারি এএফপিকে বলেন, ভিডিওটি মূলত একটি ট্রায়াল টিকাদান কার্যক্রমের ভিডিও। এটি প্রকৃত টিকাদান কার্যক্রম ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবার ভুল সংবাদ প্রকাশের বিপত্তি দেখলাম। চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্রে করোনার টিকার ট্রায়াল শুরু হবে। এটি দেখার জন্য যে, প্রকৃত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সব কিছু ঠিকঠাকমতো চলে কি না।
‘এ জন্য টিকাদান কেন্দ্রে ড্রাই রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন ব্যক্তিকে টিকা দিতে কত সময় লাগে, ওই সময় টিকাগ্রহীতাদের অপেক্ষার লাইন দীর্ঘ হয় কি না, এসবই মূলত দেখা হবে। এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক যে, পরীক্ষামূলক পদক্ষেপকে মানুষ ভুয়া খবর ছড়াতে ব্যবহার করছে।'
ভুয়া ভিডিও টুইটারে শেয়ার হওয়ার পর সোমারস টুইটবার্তায় বলেন, ‘ওই ড্রাই রান চলাকালে কাউকে টিকা দেয়া হয়নি। এমনকি করোনার টিকার ইনজেকশনও ড্রাই রানের সময় কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হয়নি। নয়তো টিকা নেয়ার পর আমি ব্যথায় জোরে শব্দ করতাম।’