অতিরিক্ত তাপের কারণে সূর্যপৃষ্ঠের ছবি তোলা মোটেই সহজ নয়। যা তোলা হয় তাও যে খুব সুস্পষ্ট তেমনটা নয়।
সম্প্রতি সূর্যপৃষ্ঠের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুক ও টুইটারে অনেকে দাবি করেছেন ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) প্রকাশ করেছে।
এক জন ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি ক্যাপশনে লেখেন, ‘নাসা প্রকাশিত সূর্যপৃষ্ঠের সবচেয়ে স্পষ্ট চিত্র।’
ছবিটি এতটাই ভাইরাল হয়েছে, একটি ফেসবুক পোস্ট ৭৭ হাজার বার শেয়ার হয়েছে।
অনেকে এটি নাসার ছবি বলে শেয়ার করলেও আরেকটি পক্ষ অবশ্য এটি চিত্রকর্ম না আসলেই সূর্যপৃষ্ঠের ছবি না নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে অনুসন্ধানের পর জানিয়েছে, ছবিটি তোলা এবং ডিজিটালি সম্পাদনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী জেসন গুনজেল। এর সঙ্গে নাসার কোনো সম্পর্ক নেই।
ফ্যাক্ট চেক
গুগলের রিভার্স ইমেজ সার্চ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন আর্ট মার্কেট ‘ফাইন আর্ট আমেরিকা’ নামের একটি ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি পেয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
সেখানে ১৬ জানুয়ারি ছবিটি দেন গুনজেল। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘চৌম্বকীয় সূর্য: কাছ থেকে সৌরশক্তির বিশেষ উপস্থাপনা। এই ছবিটি আমাদের তারার দৃশ্যমান পৃষ্ঠের অশান্ত চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি তুলে ধরে।’
গুনজেল তার পরিচিতিতে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের এক জন চিত্রগ্রাহক বলেছেন।
ছবিটি ১৩ জানুয়ারি তার টুইটারেও দেন গুনজেল। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে লেখেন, ‘খুবই উন্নত সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত সৌরমণ্ডলের ছবি।’
‘বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে পাতলা রেখায় হাঁটা ... সম্ভবত এটি কিছুটা ঝাপসা।’
ক্যাপশনটি এ ইঙ্গিত দেয়, ছবিটি শৈল্পিকভাবে সম্পাদিত।
টুইটারে ছবিটি শেয়ার করেছেন এমন এক জনের পোস্টেও গুনজেলের ছবিটি বিশেষভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
নাসার প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছবিটি বা এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।