বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভ্যুত্থানের সময় রাস্তায় অ্যারোবিকস?

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১১

সেনাবাহিনী সাঁজোয়াবহর সোমবার যখন দেশটির রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছিল, তখন প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছেই এক নারীকে অ্যারোবিকস (বিশেষ ধরনের ব্যায়াম) করতে দেখা যায়।

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি নেতা সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সামরিক বাহিনী।

সেনাবাহিনী সাঁজোয়াবহর সোমবার যখন শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করতে যাচ্ছিল, সেই সময় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে এক নারীকে অ্যারোবিকস (বিশেষ ধরনের ব্যায়াম) করতে দেখা যায়।

তিন মিনিটের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়ার পরপরই ভাইরাল হয়। অনেকের সন্দেহ ভিডিওটি আসল নয়।

তাদের সন্দেহ, ওই নারীর ভিডিওটি ধারণের সময় পেছনে গ্রিন স্ক্রিন প্রযক্তি (বিশেষ পর্দা) ব্যবহার করা হয়েছে। পরে সাঁজোয়া বহরের ভিডিও গ্রিন স্ক্রিনের উপর বসানো হয়েছে।

ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসের আন্তর্জাতিক বিষয়ের সম্পাদক রেজাউল হাসান লস্করও দাবি করেন, সবুজ পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ ‘ওই নারীর ছায়া কোমরের ওপর থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।’

সু চি আটকের দিন ভিডিওটি খিং হ্নিন ওয়াই নামের মিয়ানমারের এক নারী ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি বুধবার পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, ৪ হাজার ৪০০টির বেশি।

ওই নারীর ফেসবুক প্রোফাইল অনুসারে, তিনি মিয়ানমারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শারীরিকবিদ্যার শিক্ষক।

ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে ভারতের ফ্যাক্ট চেক সাইট বুম। তারা জানিয়েছে, তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী, ভিডিওটি বানানো হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। এটি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে রেইজড লোটাস চত্বরে ধারণ করা হয়েছে।

ফ্যাক্ট চেক

খিং হ্নিন যেই স্থানে কসরত দেখাচ্ছিলেন সেই চত্বরের ছবি গুগল ম্যাপে থেকে বের করেছে বুম। সেখানে তারা দেখতে পেয়েছে খিং হ্নিন যেখানে কসরত করছিলেন, তারপরই একটি সিঁড়ি রয়েছে। এ কারণে ছায়ায় তার কোমরের ওপরের অংশ দেখা যাচ্ছে না।

তবে যখন তিনি এক পাশে সরে যান, তখন সিঁড়ির পাশে তার ছায়া দেখা গেছে। এর অর্থ নিচু সিঁড়ির কারণে তার ছায়া দেখা যাচ্ছিল না।

ওই চত্বরে পেছনের ছবিও দেখেছে বুম। সেখানে একটি মঠ পেয়েছে তারা। গুগল ম্যাপের মাধ্যমে ওই মঠটি বের করেছে। জুলিও নামের মঠটির অবস্থান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছেই। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখতে পাওয়া মঠটি জুলিও মঠের কাঠামোর সঙ্গে মিলে যায়।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ভবনে যাওয়ার রাস্তার সঙ্গেও ভিডিওতে দেখতে পাওয়া রাস্তাটি মিলে যায়।

সবশেষ খিং হ্নিন ওই স্থানে তার আগে করা আরও কিছু ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন, যা দেখে স্থানটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর