করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়া হয় এক বছর। ২০২১ সালে ২৩ জুলাই শুরু হয়ে ৮ আগস্ট শেষ হবে ‘বিগেস্ট শো অন আর্থ’।খেলাধুলার সর্ববৃহৎ আয়োজনটি নিয়ে সম্প্রতি জাপানের একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বাতিল করা হতে পারে এটি।
টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ও টোকিও ২০২০ আয়োজকেরা আলোচনায় বসবেন।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং জাপানে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারির পরপরই এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
জাপানের সংবাদমাধ্যমটির এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে টোকিও ২০২০ আয়োজক কমিটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম কিয়াদো নিউজের একটি জরিপের তথ্য দিয়ে কমিটি জানিয়েছে টোকিও অলিম্পিক বাতিল করা নিয়ে তারা কোনো চিন্তাই করছে না। বেশিরভাগ মানুষ এখনও এটি আয়োজনের পক্ষে।
ফ্যাক্ট চেক
করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই টোকিও অলিম্পিক নিয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রায়শ নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, খোদ জাপান সংবাদমাধ্যমও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের পর টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সিইও তোশিরো মুতো এটি ‘ভূয়া সংবাদ’ বলে জানান।
কিয়াদো নিউজের জরিপের তথ্যের বরাত দিয়ে তোশিরো জানান, টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। অপরদিকে এটি বাতিলের পক্ষে রয়েছেন ৩৫ শতাংশ।
মুতো বলেন, ‘এটি বাতিল করার পক্ষে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। আর পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। এর অর্থ তারা এখনও চান, এটি হোক।’
অলিম্পিকের নিরাপত্তা নিয়ে মুতো বলেন, ‘অবশ্যই অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপদ গেমস আয়োজন করার নিশ্চয়তা আমাদের দিতে হবে। এটি দিতে পারলে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আরও অনেক মানুষ আমাদের সমর্থন দেবেন।’
জাপানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা সংবাদ’ হিসাবে বাতিল করে দিয়ে মুতো বলেন, ‘যখন এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, তখন কিছু মানুষ উদ্বিগ্ন হন। আমি বলতে চাই, আমরা মোটেও এ ধরনের কিছু ভাবছি না এবং এই প্রতিবেদনগুলো ভুল।’