বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাম্প-বাইডেন বিতর্কের সত্য মিথ্যা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:০৬

নির্বাচনের ১২ দিন আগে বৃহস্পতিবার শেষ বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১২ দিন আগে বৃহস্পতিবার শেষ বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।

তর্কযুদ্ধে দুই প্রার্থীর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল করোনাভাইরাস, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পরিবেশ, অপরাধ, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো।

এসব বিষয়ে আলোচনায় দুই প্রার্থীই নানা দাবি করেছেন, যার অনেকগুলোই ছিল ভুল ও মিথ্যা তথ্যে ভরা।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- এটি চলে যাচ্ছে।’

ট্রাম্পের এই বক্তব্য দেশটির বর্তমান করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। করোনার প্রকোপ কমছে না বরং দিনদিন রোগী ও হাসপাতালে ভর্তি বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও এখনও অনেক বেশি।

হোয়াইট হাউসের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি ট্রাম্পের এ দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, করোনা নিয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান ‘উদ্বেগজনক’।

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের তাৎক্ষণিক হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের হার ৫০ হাজারের কাছাকাছি থাকলেও গত কয়েকদিনে তা ৬০ হাজারের ওপরে রয়েছে।

অক্টোবরের শুরুর তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া এখনও প্রতিদিন ৮০০ জনের কাছাকাছি মানুষ মারা যাচ্ছে।

বাইডেন দাবি করেন, রিপাবলিকান পার্টি শাসিত অঙ্গরাজ্য বা ‘লাল অঙ্গরাজ্যগুলোতে’ করোনার প্রকোপ বেশি।

বাইডেনের এ দাবি সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান (লাল) ও ডেমোক্র্যাট (নীল) উভয় পার্টি শাসিত অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টিরও বেশি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যে উভয় পার্টি নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্যই রয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির উত্তর ডাকোটা, দক্ষিণ ডাকোটা, মন্টানা ও উইসকনসিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে ডাকোটায় রিপাবলিকান গভর্নর আর মন্টানা ও উইসকনসিনে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর রয়েছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি ন্যাটোভূক্ত দেশগুলোর প্রতিবছরের প্রতিরক্ষা ব্যয় ১৩০ বিলিয়ন ডলার বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন।

ইউরোপীয় দেশগুলো ও কানাডা তাদের প্রতিরক্ষা বাজেটে ১৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়িয়েছে এটি সত্য। তবে এটি প্রতি বছর নয় বরং ২০১৬ সাল থেকে এ ব্যয় করা হয়েছে।

ন্যাটো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় মিত্র ও কানাডা প্রতিরক্ষায় অতিরিক্ত ১৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৪০০ বিলিয়ন।’

বাইডেন বলেছেন, তিনি (ট্রাম্প) চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি না কমিয়ে বরং বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ তথ্যটি একদমই ঠিক নয়। চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর ২০১৮ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি কমতে শুরু করেছে। ২০১৬ সালে যেখানে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩১০ বিলিয়ন ডলার। তিন বছর পরও ২০১৯ সালে তা ৩০৮ বিলিয়ন ডলারে রয়েছে।

দেশটির জরিপ বিভাগের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে চীনা পণ্য ও পরিষেবা মিলে ঘাটতি আছে ১৩০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় ৩৪ বিলিয়ন ও ২০১৮ সালের তুলনায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার কম।

সূত্র: বিবিসি

এ বিভাগের আরো খবর