বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর টুইট

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:৪২

ইউনিভারসিটি অব এক্সেটার মেডিকেল স্কুল-এর সিনিয়র ক্লিনিক্যাল লেকচারার ড. ভারত পানখানিয়া বলেন, তাত্ত্বিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব ‘টিকাদানের মাধ্যমে’ অথবা জনগোষ্ঠীকে সংক্রমিত ও সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে।

রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বা ‘কঠোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ অর্জন আদৌ সম্ভব ও কার্যকর কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ন্যাডাইন ডোরিস। সম্প্রতি এক টুইটবার্তায় এই শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

১৩ অক্টোবরের টুইটে তিনি লেখেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি বলে যদি কিছুর অস্তিত্ব থাকত তাহলে হাম ও জল বসন্তের মতো রোগ অনেক বছর আগেই উধাও হয়ে যেত। হার্ড ইমিউনিটি বলে কিছু নেই।’

কিন্তু তার এই বক্তব্য ঠিক নয়। হার্ড ইমিউনিটি বা কঠোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব এবং এর অস্তিত্ব আছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক ও গবেষকেরা।

ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়ার চিকিৎসাবিজ্ঞানের অধ্যাপক পল হান্টার বলেন, ‘(কোনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে) একটি জনগোষ্ঠীর যথেষ্ট পরিমাণ সদস্য যখন এমন এক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেন যেখানে সংক্রমণ খুব সহজে ছড়ায় না বা নিঃশেষ হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিকেই হার্ড ইমিউনিটি বলা চলে।’

তিনি বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি বা কঠোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটি ফল; কোনো পথ নয়।’

ছবি: করোনা ভাইরাস নিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ন্যাডাইন ডোরিসের টুইট

 

ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার মেডিকেল স্কুলের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল লেকচারার ড. ভারত পানখানিয়া বলেন, তাত্ত্বিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব টিকা বা জনগোষ্ঠীকে সংক্রমিত ও সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে।

হাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ডোরিসের দাবিও সঠিক নয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ স্ট্যাটিসটিকসের ওয়েবসাইট বলছে, যদি ৯৫ শতাংশ শিশুকে এমএমআর টিকা দেয়া সম্ভব হয়, তাহলে হাম থেকে মুক্তি সম্ভব।

যুক্তরাজ্য ২০১৫ সালে এই অবস্থান অর্জন করেছিল। অবশ্য ২০১৯ সালে আবার হামের প্রকোপ দেখা দেয়ায় ‘হামমুক্ত’ দেশ হিসেবে তাদের সনদ বাতিল করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সূত্র ও ভাষান্তর চ্যানেল ফোর-এর প্রতিবেদন

এ বিভাগের আরো খবর