একটি বাড়ি, কিছু আলাদা আলাদা ঘর, কিছু মানুষ, প্রতিজনের ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট। এই সবকিছু এক ফ্রেমে দেখানোর বাসনা থেকেই নির্মিত হয়েছে সিনেমা পাতালঘর। সিনেমার পরিচালক নূর ইমরান মিঠু। কমলা রকেটের পর এটি তার দ্বিতীয় সিনেমা।
প্রথম সিনেমায় যেমন সমাজ, বৈশিষ্ট্য ও দৃষ্টিভঙ্গিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন মিঠু, দ্বিতীয় সিনেমাতেও তেমনি বাসনা তার। তবে এবারের গল্পগুলো ভিন্ন। না, এখনি গল্পগুলো ধারণা করা মুশকিল।
সিনেমার পরিচালক নূর ইমরান মিঠু থাকেন নিজ এলাকা রাজবাড়ীতে। প্রয়োজন হলে ঢাকায় আসেন। তাই মিঠুর সঙ্গে নিউজবাংলার কথা হলো মুঠোফোনেই। সিনেমা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না এখনই। তবে ধারণা দিলেন কিছু বিষয়ে।
পাতালঘর নামের ব্যাখ্যা চাইলে মিঠু বলেন, ‘যে ঘর পাতালে চলে গেছে-পাতালঘর বলতে আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি। একটি ঘরে তো আসবাবপত্র ছাড়াও ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, রাগ-ক্ষোভ সবই থাকে। কিন্তু সেগুলো পাতালে চলে গেলে আর কী থাকে?’
পরিচালক না বললেও ধারণা করাই যায় যে, বর্তমান সময়কেই হয়তো ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। একটি বাড়ি, ঘর, চরিত্র ও প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরার মাধ্যমে প্রতীকী অর্থে প্রকাশ করতে চেয়েছেন কোনো বাস্তবতা।
সিনেমায় অনেকেই অভিনয় করেছেন। তবে অনেকের নজর নুসরাত ফারিয়ার দিকে। কেমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, সেটা জানার ইচ্ছা অনেকেরই।
নুসরাত ফারিয়ার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে তিনি স্কুল ড্রেস পরে আছেন। তাহলে কী নুসরাত ফারিয়া স্কুল ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করলেন? না, গল্পের প্রয়োজনে ফ্ল্যাসব্যাকে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, তাই ফারিয়াকে পরতে হয়ে স্কুল ড্রেস।
মিঠু জানান, নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করেছেন একজন নায়িকার চরিত্রে। অর্থাৎ সিনেমার ভেতরেই তিনি নায়িকা। আর তার মায়ের চরিত্রে আছেন আফসানা মিমি।
আফসানা মিমি ও নুসরাত ফারিয়া
নূর ইমরান মিঠু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসব চরিত্র দিয়ে আমি মূলত সম্পর্কের যে পতন সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছি।’ এর বেশি কিছু এখনই বলতে চান না পরিচালক।
সিনেমাটি এখন রয়েছে সম্পাদনার টেবিলে। সেখানে সব কাজ শেষ হতে প্রয়োজন আরও দেড় থেকে দুই মাস। সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে তা এখনও অনির্ধারিত।