বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৫১

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় নিজ উদ্যোগে পাস করিয়ে নিয়েছি, যেটি ছাত্ররা এমনকি শিক্ষকরাও জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত সেটার কার্যবিবরণী জারি হয়নি। কেরানীগঞ্জে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে, যা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। কেরানীগঞ্জে সম্পূর্ণ নতুন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ‌ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একনেক সভায় প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছি। কেরানীগঞ্জে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে, যা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এতো বড় একটি মেগা প্রকল্প আমরা নেবো কি না তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু একনেকের গত মিটিংয়ে (অনুমোদন হয়েছে), যেটা আমাদের ছাত্ররা এবং শিক্ষকরাও জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত সেটার কার্যবিবরণী জারি হয়নি।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রাবাস থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, স্কুল থাকবে, চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে। এরকম একটা প্ল্যান করার অনুমতি একনেক থেকে পাস করে দেয়া হয়েছে।’

চলমান প্রকল্প নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি- তারা বলছে যে প্রকল্প পরিচালকের অনেক দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত করে অনিয়ম পাওয়া গেলে পরিচালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বুয়েটের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এটা এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো অনেকাংশে স্বায়ত্তশাসিত। তারা যদি সেটা চায় তাহলে ইউজিসির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহায়তা করবো, কী করে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেয়া যায়। মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের ছোটখাটো কিছু দাবি আছে। সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। যেমন তারা চাচ্ছে এতদিন যত দুর্নীতি হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার (শ্বেতপত্র)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, তারা তৈরি করবে।’

প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরনো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে; সম্প্রতি ইউজিসি ঘোষিত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর