বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:১৪

উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে নেমে বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না- এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি পূরণ করা হবে।’

কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না- এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি পূরণ করা হবে। শিগগির শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে।

‘আমি জানি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকেন। আমার পরিবারের একজন সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের আবাসিক হল নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তাদের সব দাবি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমরা তিনদিনের মধ্যে হল করে দিতে পারবো না। কিন্তু আর্মির কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এর জন্য আমাদের বসতে হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ আমরা তিনদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবো। কাজটা যেভাবে দেয়া যায় সেভাবেই কাজ করবো।’

সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে- এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সচিব ও সংশ্লিষ্ট যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা এর জন্য ক্ষমা চাইবেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান দেন জবি শিক্ষার্থীরা। এতে সচিবালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে তুমি কে, জবিয়ান জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, অধিকার না অন্যায়, অধিকার অধিকারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপন করা দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এই প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুএনা ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা নির্ধারণ।

এ বিভাগের আরো খবর