দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনী কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার প্রথমে শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীরা। পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তবে শিক্ষা সচিব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা না করায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয় ঘেরাও করেন।
জবি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এই প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুএনা ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট সর্বনিম্ন পাঁচশ’ কোটি টাকা নির্ধারণ।
জানা গেছে, শিক্ষা সচিবকে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ ও অপু মুন্সী। কিন্তু ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল সচিবের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি।
দেখা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের বাইরে এসে ‘শিক্ষা সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে স্লোগান দেয়া শুরু করেন। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টাকে আন্দোলনস্থলে হাজির হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢুকেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজে দেখা না করে তার প্রতিনিধি পাঠান আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। আমরা এটা মানি না।
‘এখন আমাদের দাবি, শিক্ষা উপদেষ্টা সশরীরে এসে আমাদের দাবি শুনবেন। আমরা দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি।’
হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।