এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করায় ২৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া আটক হওয়া ১৫ নারী শিক্ষার্থীসহ ২৮ জনকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ থেকে ৭০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জহিরুল ইসলাম, ফয়সাল হাসান, রায়হান হোসেন, রুবেল আহম্মেদ, রিয়াদ মাহমুদ, মেজবাউল রহমান মিল্লাদ, মেহেদী হাসান, সোয়ান, ইমরান হোসেন আরমান, মেহেদী হাসান অন্তর, সাগর, রোহান, শাহারিয়ার হোসেন সোয়াদ, আহাদ মোল্লা, সোহান, মাসনুন, নাঈম, ইমাম হাসান, শাকিল, সেলিম, সাকলাইন মুস্তাক, হানজালাল, মশিউর রহমান, প্রান্তিক, তাছিম রহমান ও রবিন মিয়া।
তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তাররাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০/৭০ জন তরুণ জোরপূর্বক সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তারা সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালায়।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সচিবালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫৪ জনকে আটক করে।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার ২৮ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার ২৬ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৬ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশপাশ এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়।