সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভুক্ত (জিএসটি) ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। চার বছর পর আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৭০তম সভায় (বিশেষ সভা) বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিটগুলো গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
উপাচার্য জানান, পাঁচটি ইউনিট হলো A- ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য), B- ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদের জন্য), C- ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য), D-ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য) এবং E- ইউনিট (চারুকলা অনুষদের জন্য)।
উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এজন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও ঠিক হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি স্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। সেখানে আমাদের থাকার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাব।’
পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, আগের মতো নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দ্রুতই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।
একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সে দাবির পরপ্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত সম্মিলিত সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।