এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো আর হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৪ এর স্থগিত পরীক্ষাসমূহ বাতিল করা হলো।
এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পুনরায় পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পেছানো হবে।
তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবি জানান। কারণ হিসেবে তারা বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অনেকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অবশেষে পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হলো। ওই বিষয়গুলোর মার্কিং কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই- পরীক্ষা বাতিল চাই', ‘আপস না সংগ্রাম- সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘পরীক্ষা না বিকল্প- বিকল্প-বিকল্প’, ‘যুক্তি দিয়ে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না’, ‘চলছে লড়াই-চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।