স্বপদে বহাল থাকতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ও প্রক্টরকে বেশকিছু শর্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক উন্মুক্ত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেন৷ এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উত্থাপনের জন্য ২১ দফা দাবি ঠিক করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
শর্তগুলো হলো- প্রক্টরের ক্ষেত্রে যে বিচারগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
আর ভিসির ক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো- তিনি উপাচার্য থাকাকালীন কোনো রাজনৈতিক দলের পদে থাকতে পারবেন না এবং যে পদে আছেন তা থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানোর জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় মিটিংয়ের আয়োজন করি। মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ২১ দফা দাবি ঠিক করেছি। এগুলোর মধ্য অন্যতম হলো দ্রুত ছাত্র সংসদ গঠন করে নির্বাচন দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দুর্নীতি দূর করা, সেশনজট নিরসন করা। দাবিগুলো আমরা অতি দ্রুত উপাচার্য বরাবর দেব।’
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে শর্তসাপেক্ষে ভিসি ও প্রক্টরকে তাদের পদে রাখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বিতর্কিত নিয়োগগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটা পরীক্ষা হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আইন পাস করতে হবে। শিক্ষকদের উদাসীনতায় সেশনজট তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে উপাচার্য নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেবেন। অন্যথায় আমরা তার পদত্যাগ দাবি করব।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এ বিষয়ে জানান, শিক্ষার্থীরা চাইলে তিনি শর্তসাপেক্ষে উপাচার্য হিসেবে থাকবেন।