টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। হামলায় তিন সমন্বয়ক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে সকাল ১০টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সীমান্ত ও ছাত্রলীগ কর্মী আপনের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের একটি দল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় তিন সমন্বয়ক রক্তাক্ত আহত হন। তারা হলেন- সমন্বয়ক মোজাহিদ, ইমন সিদ্দিকী ও জাকির।
শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে সমন্বয়ক মোজাহিদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, মোজাহিদের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। হামলার সময় শিক্ষার্থীরা আপন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করেন। আপন মির্জাপুর পৌর এলাকার পোষ্টকামুরী গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহফুজের ছেলে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ নেতা সীমান্তের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং জামায়াতের উপজেলা আমীর ইয়াহ ইয়াহ খান মারুফ।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম নিঝুম বলেন, ‘হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’