বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ববিতে রাজনীতির পক্ষ নেয়া সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা

  • প্রতিনিধি, ববি   
  • ১০ আগস্ট, ২০২৪ ২০:০৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক পরিষদ বলেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র সংসদ ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সমর্থন করে না। সেহেতু যারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দলীয় রাজনীতির পক্ষাবলম্বন করবেন তারা নিজেদেরকে আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করতে পারেন না।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যেসব সমন্বয়ক ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চলমান রাখার পক্ষাবলম্বন করবেন তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সমন্বয়ক পরিষদ। শনিবার সমন্বয়ক পরিষদের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘোষিত প্রাণের নয় দফা দাবির অন্যতম একটি ছিল ক্যাম্পাসগুলোতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা। অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র সংসদ ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সমর্থন করে না।

সেহেতু, যারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দলীয় রাজনীতির পক্ষাবলম্বন করবেন তারা নিজেদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করতে পারেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘যেসব সমন্বয়ক ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চলমান রাখার পক্ষাবলম্বন করেছেন, সেসব সমন্বয়ককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

‘কেন্দ্র ঘোষিত পরিষদে আমাদের অনেক অগ্রগামী সহযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আমাদের বর্তমান পরিষদটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে আমরা মনে করি। শিগগির আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ত্যাগী, সংগ্রামী এবং অগ্রগামী সহযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ পরিষদ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি।

‘উপরন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনও নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিলে সেদিন থেকে আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করব না।’

এ বিষয়ে সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, ‘বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকেই অরাজনৈতিক ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের একটা পর্যায়ে যখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতা চালায় তখন আরও বেশকিছু দাবির সঙ্গে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিও ওঠে। তখন সবাই দল-মত নির্বিশেষে এই দাবির পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যায়।

‘কিন্তু আজ যখন স্বাধীন দেশ পেলাম আমরা তখন দেখলাম আমাদের মধ্যেই কিছু মানুষ ঘুরে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণে দাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেল। আমরা মনে করি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির বিপক্ষে গিয়ে কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হতে পারেন না।’

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও ছাত্রদলের। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে একমত পোষণ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর