জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি। সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার মাঝরাতে প্রকাশিত এক অফিস আদেশের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বুধবার দুই দফা দাবি পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। দু’দফার একটিতে বলা হয়- বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি অর্থাৎ ছাত্ররাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি শিক্ষক রাজনীতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জেনাস ভৌমিক বলেন, ‘আমরা দুই দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পেশ করেছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের প্রথম দফার কিছু বিষয় মেনে নিয়েছে। দুই দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। রোববার থেকে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদেও পরিবর্তন আনা হয়।
আগে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধে বিবৃতি দেয়া হলেও সম্মিলিত ও প্রশাসনিক পর্যায়ে এই প্রথম এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নানা বিষয় পর্যালোচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্ররাজনীতি বন্ধের এই নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।