বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলেছে ঢাবির হল, সিট বরাদ্দ যেভাবে

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ৬ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৫৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল মঙ্গলবার খুলে দেয়া হয়েছে। তবে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তারা থাকতে পারবেন না হলে। এছাড়া আরও বেশকিছু নিয়ম তৈরি করেছে আবাসিক হলে সিট বণ্টন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলেছে। আজ মঙ্গলবার খুলে দেয়া হয়েছে সব আবাসিক হলের দরোজা। তবে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তারা থাকতে পারবেন না হলে। এছাড়া আরও বেশকিছু নিয়ম তৈরি করেছে আবাসিক হলে সিট বণ্টন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের নাম সংবলিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নিয়ম জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও নাম ছিলো এই কমিটির সদস্য শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ এবং এই কমিটির সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।

হল-হোস্টেলে শিক্ষার্থী উঠানোর নির্দেশনা

## পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদেরকে আবাসিক হলে বা হোস্টেলে উঠানো হবে।

## মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা বিভিন্ন কারণে ছাত্রত্ব নেই অথবা মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা (ইন্টার্নশিপ/ফিল্ডওয়ার্ক/ প্রজেক্ট/থিসিস/ব্যবহারিক/ভাইভাসহ) শেষ করেছেন অথবা স্নাতক পাস করেছেন কিন্তু নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে মাস্টার্সে ভর্তি হননি এমন শিক্ষার্থী হল বা হোস্টেলে উঠতে পারবেন না।

এসব শিক্ষার্থীর জিনিসপত্র যদি হলে বা হোস্টেলে থাকে, তাহলে হল বা হোস্টেলের সব পাওনা পরিশোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় হল/হোস্টেল কর্তৃপক্ষ তাদের কক্ষ থেকে জিনিসপত্র অপসারণ করবে এবং এসব জিনিসের দায়-দায়িত্ব হল/হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।

## হল/হোস্টেলে অবস্থানরত সব আবাসিক ও দ্বৈতাবাসিক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে তাদের স্ব-স্ব ড্যাশবোর্ডে নির্ধারিত ফরম পূরণ করবেন এবং হল/হোস্টেলে ওঠার দিন এই পূরণকৃত ফরমের একটি কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হল/হোস্টেলের নির্ধারিত ফি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে হল/হোস্টেলে ওঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

## হল/হোস্টেলে অবস্থান করছেন কিন্তু আবাসিকতা/দ্বৈতাবাসিকতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি এমন শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে তাদের স্ব-স্ব ড্যাশবোর্ডে নির্ধারিত ফরম পূরণ করবেন এবং হল/হোস্টেলে ওঠার দিন এই পূরণকৃত ফরমের একটি কপিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হল/হোস্টেলের নির্ধারিত ফি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে হল/হোস্টেলে ওঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

হল-হোস্টেলে সিট বণ্টন নীতিমালা

## ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল/হোস্টেলে সংযুক্ত নিয়মিত শিক্ষার্থীরা আবাসিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ঢাকা শহরসহ যেসব স্থানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিবহন সুবিধা আছে সেসব স্থানে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা হল/হোস্টেলে আবাসিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

## এমফিল, পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি, নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ভর্তি হওয়া, প্রফেশনাল মাস্টার্স, ইভনিং মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হল/হোস্টেলে সিট বরাদ্দ করা হবে না। তবে স্বতন্ত্র নীতিমালার ভিত্তিতে শুধু এমফিল ও পিএইচডি গবেষণারত নারী গবেষকদের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রীনিবাসে সিট বরাদ্দ করা হবে।

## শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার নিজস্ব ড্যাশবোর্ড থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে হল/হোস্টেলের সিটের জন্য আবেদন করতে হবে। পূরণকৃত ফরমের পিডিএফ কপি প্রিন্ট করে তা স্ব-স্ব বিভাগের চেয়ারম্যান/ইন্সটিটিউটের পরিচালকের সুপারিশসহ হল অফিসে জমা দিতে হবে।

শূন্য আসনের বিপরীতে মেধা ও চাহিদার ভিত্তিতে সিট বণ্টন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট আসনের ৪০ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের জন্য ১৫ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষের জন্য ১০ শতাংশ, মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ৫ শতাংশ আর হল/হোস্টেলে বিদ্যমান সামাজিক/সাংস্কৃতিক/স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্রীড়া ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ সিট বরাদ্দ রাখা হবে।

আর এসব ক্যাটাগরির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ সিট অস্বচ্ছল ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষণ রাখা যেতে পারে। বর্ষভিত্তিক সিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হল কর্তৃপক্ষ এই বিন্যাস পরিবর্তন করতে পারবেন।

সিট বণ্টনের তালিক যেভাবে

## প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মেধা স্কোরের ১০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট)।

## দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মেধা স্কোরের ১০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট) এবং পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের জিপিএ/সিজিপিএ।

## মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার সিজিপিএ।

##পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে পরবর্তী বর্ষের/শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা যাবে না।

## হল/হোস্টেল কর্তৃপক্ষ আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় অভিভাবকের সাক্ষাৎকার গ্রহণপূর্বক বর্ণিত নিয়মানুযায়ী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রমের তালিকা প্রকাশ করবেন। হল/হোস্টেলের আবাসিক ভবনসমূহ ও কক্ষের শ্রেণিবিন্যাসের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেধাক্রম তালিকা থেকে সিট বরাদ্দ কমিটি সিট বরাদ্দ করবেন।

## বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনোভাবেই কক্ষ কিংবা সিট পরিবর্তন করতে পারবেন না।

## কোনো শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে নিয়োজিত থাকলে অথবা মাদকাসক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সিট বাতিল করা হবে।

## কোনো শিক্ষার্থী আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে দ্বিতীয়বার ও মাস্টার্স পর্যায়ে প্রথমবার পুনঃভর্তি হতে চাইলে কেবলমাত্র তার হল/হোস্টেলের সিট বাতিল করা সাপেক্ষে পুনঃভর্তি হতে পারবেন।

## কোনো শিক্ষার্থী আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে তার নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পরবর্তী বর্ষে ভর্তি না হলে অথবা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করে নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে মাস্টার্সে ভর্তি না হলে তার সিট বাতিল করা হবে।

## শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ইন্টার্নশীপ/ফিল্ডওয়ার্ক/প্রজেক্ট/থিসিস/ব্যবহারিক/ভাইভাসহ সমাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে হল/হোস্টেল কর্তৃপক্ষের নিকট তার সিট বুঝিয়ে দিয়ে হল/হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে।

## প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ক্লাস, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সিট বরাদ্দপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী হল/হোস্টেল কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি কিংবা গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতিত একটানা ১৫ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তার সিট বাতিল বলে গণ্য হবে।

এমতাবস্থায়, সিট পুনঃবরাদ্দের জন্য পাঁচশত টাকা জরিমানা প্রদানপূর্বক সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষকের মাধ্যমে হল প্রাধ্যক্ষের নিকট আবেদন করতে পারবেন। জরিমানা প্রদানপূর্বক সর্বাধিক তিনবার সিট পুনঃবরাদ্দের জন্য আবেদন করা যাবে।

## কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিট বরাদ্দ নিলে অথবা একজনের নামে সিট বরাদ্দ নিয়ে অন্যজন অবস্থান করলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হবে।

## সিট বরাদ্দের নীতিমালা সিটের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম/বোর্ডিং কার্ডের পেছনে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকবে।

## সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এ নীতিমালা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এ নীতিমালা প্রয়োজনে পরিমার্জন ও সংশোধন করা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর