বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে মেস থেকে তিন ছাত্র আটক, দিনে ছাড়িয়ে নিলেন শাবি শিক্ষকরা

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ১ আগস্ট, ২০২৪ ১৯:৫০

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। এর আগে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নিহারীপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

গভীর রাতে মেসে তল্লাশি চালিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে ধরে সিলেট কতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। এর আগে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নিহারীপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

ওই তিনজন হলেন- শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সোহাগ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া। তারা সবাই নিহারীপাড়ায় ব্লক সি-৭১ নম্বর বাসায় মেসে ভাড়া থাকেন।

ওই মেসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশের ওয়াকিটকির শব্দে ঘুম ভাঙে। পুলিশ কক্ষে সবকিছু তল্লাশি করে। বাড়ি কোথায়, কেউ কোনো দল করে কি না- সবাইকে জিজ্ঞেস করে। তারপর সবার মোবাইল চেক করে পুলিশ। পরে তিনজনকে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে নিতে চাইছিল। আমি পরীক্ষার্থী বলায় ছেড়ে দিছে।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।

অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা খবর পাই, সন্দেহভাজন হিসেবে ওই শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তারা আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছাড়তে রাজি হন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদে আছে।’

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাতে আমাদের কাছে খবর আসে যে ওই মেসে মামলার আসামিরা অবস্থান করছেন। রাতে আমরা মেসে যাই। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দরজা খুলে দিলেও একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। ‘দেড় ঘণ্টা পর কক্ষ খুললে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরে শিক্ষকেরা এলে শিক্ষার্থীদের তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।’

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে একজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ওই শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ভার্সিটি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। সে শিক্ষার্থী নয়। তার কাছ থেকে গুলতি উদ্ধার করা হয়েছে। সে নাশকতাকারী কীনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর