গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়ক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির-গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচি সফল করতে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ দেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের কেন্দ্রীয় ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দিলেও এখনও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন, সমন্বয়ক আরিফ সোহেলসহ অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে কারাগার ও রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে।
‘অসংখ্য ছাত্র-জনতা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে। অনেক ছাত্র ও সাধারণ মানুষ চোখ, কান, হাত, পা কিংবা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ হারিয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ‘কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কোন অপরাধে শত শত ভাইকে হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না। কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন থামাব না।’
দেশের প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও খতিবদের উদ্দেশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আপনারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে চুপ থাকবেন না। মসজিদের মিম্বার থেকে প্রতিবাদের ঘোষণা দিন।
‘মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারাই জাতির দুর্দিনের কাণ্ডারী। এই দুঃসময়ে ঘরে বসে না থেকে গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাদ জুমা মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে ছাত্র-জনতার গণমিছিল মিছিল বের করুন।’