বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৯:১৯

কেএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। তবে শেষের দিকে কিছু অছাত্র দুষ্কৃতকারী গুজব ছড়িয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশ টাইগার গার্ডেন হোটেলের মধ্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো হামলা করা হয়নি।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনে খুলনায় পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে ওই সংঘর্ষ শুরু হয়।

এসময় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ শিববাড়ী মোড়ের টাইগার গার্ডেন হোটেলে আশ্রয় নেয়। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে এটি খুলনায় ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ।

সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। তবে শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু অছাত্র দুষ্কৃতকারী গুজব ছড়িয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এসময় পুলিশ টাইগার গার্ডেন হোটেলের মধ্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো হামলা করা হয়নি। মূলত যে উদ্দেশ্যে নিয়ে ওই হামলা করা হয়েছিল তা সফল হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন খুবই স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিববাড়ী এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শিববাড়ী মোড় এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হন তারা। কর্মসূচিতে খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে ও পুলিশের সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও সন্ধ্যা ৬টার আগ পর্যন্ত সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল।

সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ওই সময়ের আগ পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে মাঠে ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

এ বিভাগের আরো খবর