বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫৭

উদ্ভূত সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে রাজধানীতেই নিহত হয়েছেন আটজন। এছাড়া সাভার, মাদারীপুর ও নরসিংদীতে একজন করে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলছে। বৃহস্পতিবারের এই দিনভর কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

উদ্ভূত সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে রাজধানীতেই নিহত হয়েছেন আটজন। এছাড়া সাভার, মাদারীপুর ও নরসিংদীতে একজন করে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সব মিলিয়ে উত্তরায় চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া ধানমণ্ডিতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক শিক্ষার্থী ও এক গাড়িচালক, যাত্রাবাড়ীতে এক রিকশাচালক, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুর ও নরসিংদীতে একজন করে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জন।

বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় পুলিশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহত দুজনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী। তার নাম জিল্লুর রহমান। তিনি ইমরেপিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাসা আফতাবনগরে। আরেকজনের নাম দুলাল মাতবর। তিনি পেশায় গাড়িচালক। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে প্রগতি সরণির ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।

উত্তরায় সংঘর্ষে আহত এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

এদিকে দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী।

কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। এছাড়া তাদের হাসপাতালে ৭০ জন ভর্তি রয়েছেন। আর পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নিহত আরেকজন বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

ধানমন্ডিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ফারহান নামে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ লালমাটিয়া সিটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ফারহানুল ইসলাম ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফায়াজ)। তার বয়স ১৮ বছর। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণের কথা ছিল।

সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাসস্ট্যান্ডের মুনসুর মার্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাদারীপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত দীপ্ত দে সরকারি মাদারীপুর কলেজের শিক্ষার্থী। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

নরসিংদীতে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে ওই স্কুল ছাত্র নিহত হয়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম তাইম। সে নরসিংদী এন কে এম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল ও ছররা গুলিতে আরও ৫০-৬০ জন আহত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর