বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, সংঘর্ষে আহত ১২

  • প্রতিনিধি, জামালপুর   
  • ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫১

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জামালপুরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে হামলা, ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ট্রেনে হামলার ঘটনায় ট্রেন চালক ও শিশুসহ অন্তত ১০ যাত্রী এবং ছাত্রলীগের হামলায় ১০ থেকে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জামালপুরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে হামলা, ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ট্রেনে হামলার ঘটনায় ট্রেন চালক ও শিশুসহ অন্তত ১০ যাত্রী এবং ছাত্রলীগের হামলায় ১০ থেকে ১২ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জামালপুর শহরের মির্জা আজম চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এখানে জড়ো হতে থাকে।

সমবেত শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং ঢাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রাণহানির প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা জামালপুরের সঙ্গে মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।

এছাড়াও কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা পড়েন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা সড়ক অবরোধ তুলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের শেখেরভিটা রেলক্রসিংয়ে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং রেলপথ অবরোধ করেন। এর কিছু সময় পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর জন্য মুহুর্মুহু পাথর নিক্ষেপ করে হামলা চালান আন্দোলনকারীরা। এ সময় ট্রেন চালকসহ অন্তত ১০ জন ট্রেনযাত্রী পাথরের আঘাতে আহত হন।

আধ ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে রাখার পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের দিকে অগ্রসর হন। কলেজের ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তন্ময়ের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী মিছিলে হামলা করে। এতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে অবস্থান নেন।

এদিকে কলেজের বাইরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজের ভেতরে অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়ায় আন্দোলনকারীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর আন্দোলনকারীরা কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে ছাত্রলীগ নেতারা বাইরে বেরিয়ে আসেন।

কলেজ ত্যাগ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাঁচরাস্তা হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গেইটপাড় এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা প্রধান সড়ক এবং জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর-সরিষাবাড়ী রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে বন্ধ থাকে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল। গেইটপাড় এলাকায় দেড় ঘন্টা অবস্থান নেয়ার পর বিকেলে আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে তাদের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর