সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম।
ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আজ (রোববার) আমাদের শিক্ষক ফেডারেশনের সভা ছিল। সেখানে আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষক ফেডারেশনের এই সভা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে।
এর আগে এসব দাবিতে শনিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সার্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্ক্রিম নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। সেটি দূর হয়েছে। এটি আগামী বছর চালু হবে।’
শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক শেষে মিডিয়ার মুখোমুখি শিক্ষক নেতারা। ফাইল ছবি
ফেডারেশনের রোববারের বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়ে যাওয়া ভালো জিনিস। কিন্তু যদি সেটি হয়ে থাকত তাহলে উনি (ওবায়দুল কাদের) যখন প্রেস ব্রিফিং করছিলেন সেখানে তো আমাদেরও হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল।
‘আমরা কি ছিলাম সেখানে? ছিলাম না। আমরা বের হয়ে পরে কথা বলবো বলেছি। সব কথা কি আমাদের মুখ ফুটে বলতে হবে?’
তিনি বলেন, ‘তবে ওনারা আমাদের ডেকেছেন সেটাতে আমরা খুশি হয়েছি। আশা করি, আবারও আমাদের ডাকা হবে।’
এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে রোববার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্দোলন যেহেতু তারা চালাবেই চালাতে থাক। চালাতে চালাতে যখন ক্লান্ত হয়ে যাবে তখন বলব।’
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অধ্যাপক আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি এই কথা বলে থাকেন তাহলে তা একটু হতাশাব্যঞ্জক। আমরা তো ওনার ওপরই আস্থা রাখছিলাম যে উনি আমাদের বিষয়টি ভালো করে শুনবেন।’
এদিকে বিগত দিনগুলোর মতো রোববারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।