সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত টানা নবম দিনের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এই কর্মসূচি চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মঙ্গলবার নবম দিনের মতো শিক্ষকরা প্রতিদিনের মতো দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিনও তারা ক্লাস, পরীক্ষা এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখেন।
এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। যেসব বিভাগ খোলা হয়েছে, সেগুলোর ক্লাসরুমগুলোতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। বিভাগে সব শিক্ষকের উপস্থিতিও ছিল না। আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য যেসব শিক্ষক ক্যাম্পাসে এসেছেন, তারা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন।
বন্ধ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও। প্রশাসন কিংবা একাডেমিক দায়িত্বে থাকা কোনো শিক্ষকও তার কর্মস্থলে বসেননি। এমনকি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারি দাপ্তরিক কাজ করেননি।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সঙ্গে জবি শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আমাদের তিনটি দাবিতে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম বাতিল, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা।’
এদিকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।