বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলবার মাঠের কর্মসূচি নেই কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ৮ জুলাই, ২০২৪ ২৩:১০

কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি। মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় ও গণসংযোগ করব। বুধবার কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি কী হবে তা মঙ্গলবার বিকেলে জানানো হবে।’

‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দীর্ঘ চার ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ শেষে মঙ্গলবার অনলাইন ও অফলাইনে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। ফলে আগামীকাল শিক্ষার্থীদের মাঠের কোনো আন্দোলন কর্মসূচি থাকছে না।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করা হয়।

রাত সাড়ে ৮টায় কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন আধা বেলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি। এবার আমরা সারা দেশে সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি।

‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করব এবং গণসংযোগ করব। এরপর বুধবার কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। আর সেই কর্মসূচি কী হবে সেটা মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চলমান ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা মেট্রো রেল ব্লকের দাবি জানালে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ব্লকেড কর্মসূচি থেকে সরে আসছি না। সর্বাত্মক ব্লকেডে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনারা সারাদেশ ব্লকেডের প্রস্তুতি নিন।’

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের পর ‘সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’ বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আপনারা দায়িত্বশীল আচরণ করুন। এ ধরনের দায়িত্বহীন কথা যদি আমরা আমাদের মন্ত্রীদের কাছ থেকে শুনি তাহলে আমরা এর থেকেও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের এক দফা দাবি দিয়ে দিয়েছি, যেখানে আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। সেটা করার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগ এবং সরকারের। ফলত বল সরকারের কোর্টে। এখন আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। তাই নির্বাহী বিভাগের প্রতি আমাদের দাবি, আইন পাস করে আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিন।’

এর আগে গতকাল আন্দোলন চার দফা থেকে সরে এক দফায় স্থির হয়। সেই দাবি হলো, ‘সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করতে হবে।’

এর আগে আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা টেবিলে ফিরতে চাই। রাস্তায় থাকতে চাই না। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের রাস্তায় থাকতে বাধ্য করেন তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্ষয়ক্ষতির দায় আপনাদের নিতে হবে।

‘আপনারা যদি অতি সত্বর আমাদের সঙ্গে না বসেন তাহলে ধরে নেব আপনারা শিক্ষার্থীদের পালস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর তার পরিণাম হবে ভয়াবহ।’

এ বিভাগের আরো খবর