‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, পল্টন মোড় ও ফার্মগেট অবরোধ করেছে চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীরা। এতে এই চার মোড়ের আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের শাহবাগ মোড় ছেড়ে বাংলামোটরের দিকে যেতে বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এবং বাংলামোটরের দিকে দৌড়ে যান সেসব রাস্তা অবরোধ করতে।
এর কিছু আগে পল্টন মোড় অবরোধ করেন অমর একুশে হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, শহীদুল্লাহ্ হলসহ আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওদিকে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজ এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর তিতুমীর কলেজসহ আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট অবরোধ করেছেন।
এছাড়া শনির আখড়া, গুলিস্তান মোড় অবরোধ করারও কথা রয়েছে।
পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগ, হল এবং ইনিস্টিটিউটের ব্যানারে অবস্থানে যোগ দেন। এরপর এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ও টিএসসি হয়ে শাহবাগে এসে মোড় অবরোধ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’; ‘কোটা ছেড়ে কলম ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’; ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের একটি রুমে বৈঠকে বসেন সরকারের একটি দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা। ফলে সেই বৈঠক শেষ করে প্রোগ্রাম শুরু করতে দেরি হয় শিক্ষার্থীদের। তবে ওই বৈঠকে কোনো সমাধানে পৌঁছেনি।
এর আগে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়করা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা করেন। রোববারও অবরোধ-অবস্থান শেষে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।