বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অষ্টম দিনের মতো কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষকরা

  • প্রতিনিধি, রাবি   
  • ৭ জুলাই, ২০২৪ ১৮:২৯

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা প্রায়ই শিক্ষকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। শিক্ষকরা দেশ বিকাশের উপায় ও প্রগতির কথা বলেন। তারা সেটা নিশ্চিহ্ন করতে চায়, যেটা অন্যখানে করেই ফেলেছে। সরকার পুরোপুরি আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে।’

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা অষ্টম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রোববার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তিন মাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে ভেবেছিলাম এ সপ্তাহে আর আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এখনও দাঁড়াতে হচ্ছে।

‘আমি মনে করি আমাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনাও দরকার। এই আন্দোলন কতদিনে থামবে তা জানি না। কিন্তু এটা জানি প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের নাম প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ছাড়া শিক্ষকদের আর ঘরে ফেরার উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা প্রায়ই শিক্ষকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। যেটা এর আগেও আমরা দেখেছি। তারা বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে শিক্ষকদের চাপে রাখতে চাচ্ছে।

‘শিক্ষকরা দেশ বিকাশের উপায় এবং বিভিন্ন প্রগতির কথা বলেন। তারা সেটা নিশ্চিহ্ন করতে চায়, যেটা অন্যখানে করেই ফেলেছে। এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই বাকি আছে। সরকার শিক্ষকদের চরমভাবে অবমূল্যায়ন করে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে।’

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, ‘আমাদের পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে আমরা ভালোই ছিলাম। হঠাৎ অর্থ মন্ত্রনালয় প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আমি মনে করি তারা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট না জেনেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম একটি প্রতারণা এবং বিভ্রান্তিমুলকমূলক প্রকল্প। এখানে এক শতাংশ শিক্ষকও থাকতে চান না- যেটা অবস্থানের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে, টক-শোর মাধ্যমে বার বার জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

‘তবু অর্থ মন্ত্রনালয়ের কোনো কর্মকর্তার হুঁশ নেই। গবেষক কোনো আমলার মধ্যে থাকে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে। তাদের সেই গবেষণার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে প্রত্যয় স্কিম থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে।’

কর্মসূচিতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম বকসী বলেন, ‘শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে শিক্ষক হচ্ছেন জাতির মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর। কিন্তু আমরা যথাযথ সম্মান পাচ্ছি না। কোনো দেশে আমলারা যখন নীতিনির্ধারক পর্যায়ে চলে যায় তখন রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণ ও ছাত্রসমাজের সংঘাত ঘটে।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর