বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছয় ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ৪ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫৩

আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি হলো- শুক্রবার অনলাইন-অফলাইনে জনসংযোগ ও সারাদেশে সমন্বয় কর্মসূচি; শনিবার বিকেল ৩টায় সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি ছাত্র ধর্মঘট।

রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড়ে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অবস্থানের পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। এই পুরোটা সময় তারা বিভিন্ন প্রতিবাদী গান এবং স্লোগান দেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর চারপাশের সড়কের যান চলাচল সচল হয়।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ এবং সারাদেশে সমন্বয় কর্মসূচি; শনিবার বিকেল ৩টায় সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষার্থীরা। আর রোববারের কর্মসূচির পর মাঠের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বেলা আড়াইটায় মোড় ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ এলেও আন্দোলনকারীদের দাবি ছিলো, সরকারের তরফ থেকে কোনো আশ্বাস না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থানস্থল থেকে নড়বেন না।

এরপর বিকেল ৫টায় পুলিশ নতুন করে অবস্থান নেয়া শুরু করলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগান দিতে দিতে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে পুলিশের একটি দল পিছু হটলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।

এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয়া শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের এই অবস্থানে মিছিল সহকারে যোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এরপর সবাই মিছিল সহকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড় দখল করে।

কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আদালতের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। আদালত তাদের মতো কাজ করবে আর আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে নেব। তবে আদালতের প্রতি আমাদের সুপারিশ থাকবে যেন মহামান্য আদালত আমাদের বিষয় বিবেচনা করে।’

নাহিদ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের প্রতি আমাদের প্রশ্ন- ২০১৮ সালে তারা কী এমন পরিপত্র জারি করেছে যেটি পাঁচ বছরে বাতিল হয়ে যায়! যা হোক, আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আমরা দীর্ঘক্ষণ আন্দোলনে ছিলাম। অথচ আমাদের সঙ্গে দায়িত্বশীল দপ্তর থেকে কোনোরূপ যোগাযোগ করা হয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অধিকার কখনও একদিনে আদায় করা যায় না। এটা কোনো পাকা ফল না যে টুস করে পড়বে আর আমরা খেয়ে নেব। এটা বুঝেই আমরা আন্দোলন চলমান রাখছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকে আমরা চলে যাচ্ছি। কিন্তু কাল দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমরা ফিরে আসব।’

এদিকে বৃহস্পতিবার সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি হয়েছে।

রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেয়।

কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

এ বিভাগের আরো খবর