বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৫ জুন, ২০২৪ ২৩:৫৫

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘গত দুইমাস যাবৎ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হলে আমরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। কারণ এই প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার প্রথম দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন জাবি শিক্ষকরা।

বুধ ও বৃহস্পতিবারও এই কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। পাশাপাশি ফেডারেশনের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে জাবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

তাদের বাকি দাবিগুলো হলো- প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেকোনো জাতীয় বেতন স্কেল কাঠামো বৃদ্ধির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেখান থেকে দূরে রাখেন। আপনারা জানেন, প্রথম গ্রেডে আসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। উনার কারণে আমরা কয়েকটা জিনিস হারিয়েছি। কারণ উনি সরকারদলের সমর্থক হওয়ার কারণে অপ্রিয় সত্য কথাগুলো বলতে পারেন নাই, তার মুখ বন্ধ ছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষক সমাজ।

‘সরকারি পেনশন স্কিমের জন্য প্রথমে প্রস্তাবনা করা হয়েছিল, সবাইকে একটা পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হবে; কিন্তু এটা আদতে একটা ইনস্যুরেন্সের মতো। সরকারের টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই, যে কারণে বলা হয়েছে- ২০২৫ সাল থেকে যারা যোগদান করবেন, তাদের ক্ষেত্রে এই আইন (পেনশন) প্রযোজ্য।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকে মনে করছি, যারা সিনিয়র আছি তারা মনে হয় বেঁচে গেছি, কিন্তু কয়দিন পর সরকার যদি অর্থ সংকলন করতে না পারে, তখন তো আপনার বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হবে।

‘আমরা মনে করি, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে যে ধরনের কূটকৌশল করছেন, আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। এই পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে; কে আওয়ামীলীগ, কে বিএনপি, কে জামায়াত- সেসব দেখলে চলবে না।’

সমাপনী বক্তব্যে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘গত দুইমাস যাবৎ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হলে আমরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। কারণ এই প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তো নতুন কিছু চাই না। আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই থাকতে চাই। আর সুপার গ্রেড তো অনেক আগের দাবি। যদি এই স্কিম সর্বজনীনই হয়ে থাকে, তবে কেন শুধু শিক্ষকদের আলাদা করা হলো?

‘সরকারকে বুঝতে হবে যে, শিক্ষকদের পিঠ যদি দেয়ালে ঠেকে যায়, তাহলে তারা সর্বাত্মক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সরকার যত দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’

সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষকরা হলের প্রভোস্ট, লাইব্রেরি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস- কোথাও দায়িত্ব পালন করবেন না বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর