‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম সোমবার শেষ হয়েছে।
তবে এটি নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই লাগাতার কর্মবিরতি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বে ঘোষিত সেই কর্মসূচিটি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে।
১ জুলাইয়ের কর্মসূচির আগে আরও দুইটি কর্মসূচি পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। কর্মসূচি দুটি হলো- আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হবে। পরীক্ষাগুলো এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি একইদিন দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। পরীক্ষা এই কর্মবিরতিরও আওতামুক্ত থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তাদের ঘোষিত এসব কর্মসূচির সঙ্গে সম্মতি জ্ঞাপন করে স্ব-স্ব শিক্ষক সমিতি সমূহকে এসব কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের সাথে আমাদের একাত্মতা আছে। আমরাও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।
গত ১৩ মার্চ অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে নতুন যোগদান করবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এরপর থেকেই এই স্কিমকে বৈষম্যমূলক দাবি করে এটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।