বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৫৪তম

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৫ জুন, ২০২৪ ১৬:০৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৭৬১ থেকে ৭৭০তম অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি ৯০১ থেকে ৯৫০ অবস্থান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং এশিয়া ২০২৫’ তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় গত এক দশকেরও বেশি সময়ের তুলনায় ভালো অগ্রগতি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

তালিকায় ৫৫৪তম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৭৬১ থেকে ৭৭০তম অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি ৯০১ থেকে ৯৫০ অবস্থান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে।

এ ছাড়া, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০১ থেকে ১২০০তম অবস্থানে আর ১২০১ থেকে ১৪০০ তম স্থানে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে এই র‍্যাংকিংয়ে সেরা ৬ শ-এর নিচে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পয়েন্ট ২২.৪। একাডেমিক খ্যাতিতে ২৩, সাইটেশন পার ফ্যাকাল্টিতে ২.৯, এমপ্লয়মেন্ট আউটকামসে ৯৩.৭, এমপ্লয়ার রেপুটেশনে ৪৫.৫, অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের অনুপাতে ১১.২, আন্তর্জাতিক অনুষদ ও শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে ১.৬ আর আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্ট ৫২।

বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রতি বছর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াকোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) র‌্যাংকিংকে।

গত এক দশকের কিউএস র‌্যাংকিং বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫৫০ এর মধ্যে আসেনি। ফলে গত এক দশকের তুলনায় এটিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান।

২০১৪ ,২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ সালে প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৭০১+ আর ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের র‍্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে হাজারের মধ্যে।

তবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাবি ৭০১-৭৫০তম র‍্যাংকিংয়ে স্থান পায় আর ২০২৪ সালে প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান হয় ৬৯১ থেকে ৭০০ অবস্থানের মধ্যে।

অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পার না হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা।

নকীব মো. নুরুন্নবী নামের এক শিক্ষার্থী ফেইসবুকে লেখেন, পর্যাপ্ত আবাসিক সিট নেই, স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যবস্থা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ভালো না, লাইব্রেরী ফেসিলেটিস কম- এত এত সমস্যা নিয়েও এতদূর এগিয়ে এসেছে ঢাবি। একটু ভালো সুযোগ-সুবিধা প্রভাইড করলে এরা বিশ্বজয়ী করে ফেলবে।

এছাড়া আরও অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থানে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

কিউএস তাদের তালিকায় এ বছরের ১ হাজার ৫০৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

১০০-তে ১০০ স্কোর নিয়ে এবারও বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ ও তৃতীয় স্থানে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়া এশিয়া মহাদেশে প্রথম স্থানে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি আর তৃতীয় অবস্থানে আছে নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুর।

একাডেমিক খ্যাতি, গবেষণা, চাকরিতে স্নাতকদের দক্ষতা, অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তার সংখ্যা, আন্তর্জাতিক অনুষদ ও শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতসহ প্রায় ১১টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তালিকা তৈরি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর