সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে শিক্ষকদের এই কর্মবিরতি শুরু হয়ে চলবে দুপুর একটা পর্যন্ত। পাশাপাশি দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করবেন শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৬ তারিখ একই দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
গত ১৩ মার্চ অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে নতুন যোগদান করবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এরপর থেকেই এ স্কিম থেকে পাবলিক শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সে সময় সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, ‘এই স্কিমের ফলে ১ জুলাইয়ের আগে ও পরে চাকরিতে যোগদান করা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য তৈরি হবে। যেটা সংবিধানের সমতার পরিপন্থি। প্রত্যয় স্কিমে মূল বেতন থেকে ১০ শতাংশ অর্থ কেটে নেয়া হবে, যেটা আগে করা হত না।’
আরও বলা হয়, বর্তমানে পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশনপ্রাপ্ত হন, কিন্তু নতুন এই স্কিমে পেনশনাররা ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশনপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেতেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সেটা সুস্পষ্ট করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী যেদিন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না উল্লেখ করে অধ্যাপক নিজাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।’