৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকার সদরঘাটে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে শুক্রবার এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে কেক কাটা এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সকলেই দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মিলনমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪৩তম বিসিএস ফলাফলের পরপরই চেষ্টা করছিলাম, সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর প্রোগ্রাম করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসছেন এবং প্রোগ্রাম সফল করার জন্য কাজ করেছেন।
‘আমরা আশা করি ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবে এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দেবে।’
প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি, তাই আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ হয়। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে, বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে।’
বিসিএস শুল্ক এবং আবগারিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সকলে সকলকে ভালোভাবে জানতে পেরেছি। সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। সবার সাথে আলাদাভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকরিজীবনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
‘পরিশেষে বলতে চাই, সকলের অংশগ্রহণে আজকে আমাদের একটি সুন্দর আয়োজন ছিল আমাদের সবার প্রিয় বুড়িগঙ্গার তীরে।’
৪৩তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ক্যাডারে একজন, প্রশাসনে চারজন, ট্যাক্সে তিনজন, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসে একজন, কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজে একজন, তথ্যে একজন, সমবায় একজন এবং বড় একটি অংশ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।