অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।বুধবার দুপুরে প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।পরে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভরতদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ‘মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে’ বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, উপাচার্য স্যার বলেছেন, হলে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং টাকা ঢুকেছে। আমি বলতে চাই, হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের অভাব। শিক্ষার্থীরা কী অবস্থায় আছে আপনি একটিবারের জন্য খবর নিয়ে দেখেছেন?
তিনি বলেন, আপনার (ভিসি) কাছে বিনীত অনুরোধ, যেভাবে জরূরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করেছেন ঠিক একইভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। আমাদের দাবি যদি পূরণ না করা হয়, আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোর হতে বাধ্য হব।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার অর্জন, আমি নিজের যোগ্যতায় এখানে থাকতে এসেছি। মাননীয় উপাচার্য যে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও করোনার কারণে একটা সেশন জটে পড়েছি, আরেকটা সেশন জটে পরতে চাই না। আমরা চাই শিগগিরেই যেন এই সমস্যার সমাধান হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে যে অপবাদ দিয়েছেন সেটার জন্য উপাচার্যকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
গত ৫ মে আবাসিক হল নিয়ে উস্কানিমূলক ও মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়ার দাবি করেছিলেন তারা।