কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও আনসার সদস্যদের বাধা না মেনে সমন্বয়কারীর অফিস ও ভর্তি পরীক্ষার কার্যাদি সম্পাদনের কন্ট্রোল রুম-সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেছিলেন দুই শিক্ষক। আর এই ঘটনার উল্লেখ করে পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হচ্ছেন আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ও ইবি শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী।
এ ঘটনার পরদিনই প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার ফজলুল হক এবং কুষ্টিয়া আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার আলতাফ হোসেন।
পরীক্ষার আগের রাতে ভবনে ঢোকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানতেন না উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘অফিস কক্ষে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলাম। সে সময় আনসারদের কাছে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রথম শুনতে পাই। পরে কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে আসি। বিষয়টি প্রক্টরকে ফোন করে অবহিত করেছিলাম।’
অন্য শিক্ষক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বলেন, ‘বিভাগে কিছু কাজ ছিল। সেজন্য রাত ৮টার দিকে অফিসে গিয়েছিলাম। তাছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
‘প্রবেশের সময় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরাও কিছুই বলেননি। পরে আমার রুমে একজন আনসার এসে বলেন যে, প্রক্টর স্যার অনুষদ ভবনে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। এ সময় প্রক্টরকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আপনি যেহেতু বিভাগের কাজ করছেন। আপনি থাকেন, কোনো সমস্যা নেই।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ঘটনাটি ২৬ তারিখের। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতের। আমার কাছে ২৭ তারিখে নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম তার বরাবর দেয়া আনসার পিসিদের দুটি লিখিত আবেদনের ওপর নোট উপস্থাপন করেন। পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি নোটটি ২৯ তারিখে ফরোয়ার্ড করেছি।’
ওই দুই শিক্ষক বিষয়টি অবহিত করার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘বিষয়টি সত্য নয়। তারা একেক সময়ে একেক কথা বলছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগটি আসেনি। আগে অভিযোগ পত্রে কি আছে সে বিষয়টি বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। পরীক্ষার আগের রাত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেক্ষেত্রে সবার উচিত সংযত ও যুক্তিসঙ্গত আচরণ করা।’