বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জবি শিক্ষক সাসপেন্ড

  • প্রতিনিধি, জবি   
  • ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৪২

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য সিন্ডিকেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সেই জবাব চাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় এর আগে তাকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য সিন্ডিকেটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সেই জবাব চাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসী নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ এক বছর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সে সঙ্গে ওই শিক্ষক তার নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে জানিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করারও আশ্বাস দেন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের কক্ষে তার সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় দীর্ঘ সময় দরজা বন্ধ দেখা যায়। বিষয়টি বিভাগের অন্য শিক্ষকদের নজরে এলে তা জানাজানি হয়। এরপর ওই নারী শিক্ষার্থী শিক্ষককে বিয়ে করতে বললে তিনি আপত্তি জানান।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পরে গণিত বিভাগের একাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিক কার্যক্রমে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন সাময়িক বহিষ্কারের পর তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাকেও কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়েছে প্রশাসন।

এর আগে ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

সিন্ডিকেট সভায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এজন্য এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে ১৫ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা অতীতে বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এতে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর